মাছ রক্ষার জন্য নিষিদ্ধ সময়ে মা মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে– মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছ রক্ষার জন্য নিষিদ্ধ সময়ে মা মাছ ধরা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, নদী ও সাগরে জেলেরা যেসব মাছ ধরে তা প্রাকৃতিক। এই মাছগুলো যদি রক্ষা না করা হয় তাহলে আগামীতে মাছ পাওয়া যাবে না। তাই নিষিদ্ধ সময়ে মাছ না ধরা বিষয়ক বিধি সবাইকে মানতে হবে।

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ‘১২তম জাতীয় সম্মেলন-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ক্ষুদ্র নন, বরং দেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী। আপনারা পরিশ্রম করে সবার খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন, এটিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ভারত যাতে আমাদের সীমানায় এসে মাছ ধরে না নিয়ে যায় সেজন্য কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে। জেলেদেরকে সরকারি সহযোগিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে ভিজিএফের চালের পরিমাণ বাড়াতে খাদ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, জেলেদের জন্য  আগামীতে অন্তত ৫০ কেজি চাল দেওয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। তবে ভিজিএফের সাথে আর্থিক সহায়তা দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, জেলেদের জন্য দাদন একটি বড় সমস্যা, যা তাদের দারিদ্র্যের চক্রে আবদ্ধ করে রাখে। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্পসুদে বিকল্প পদ্ধতিতে জেলেদের ঋণ প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে তারা দাদনের উপর নির্ভরশীল না থাকে। তিনি বলেন, প্রতিটি দুর্যোগে অনেক জেলে নিখোঁজ হন বা প্রাণ হারান। কিন্তু অনেক সময় তাদের স্বজনরা জানেন না তারা জীবিত না মৃত। ফলে এসব পরিবার কোনো সহায়তাও নিতে পারে না। এই সমস্যা সমাধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যাতে নিখোঁজ জেলে পরিবারের সদস্যদের জন্য একটি কার্যকর সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সভাপতি ইসরাইল খলিল পন্ডিতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ মোতালেব হোসেন, বিজিবি ট্রাইব্যুনালের সহকারী এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন, বরিশাল জজ কোর্টের এডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোসাদেক হোসেন স্বপন, বাংলাদেশ সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোকাদ্দেম হোসেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল মীর এবং জেলে সমিতির সদস্য তাছলিমা বেগম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *