আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর থেকে প্রতিনিধি :
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের মাঠপাড়া করমদী গ্রামে ভুক্তভোগী মিনহাজ উদ্দিনের বাড়ীর সীমানা ও পজিশন দখলের অভিযোগউঠেছে প্রতিপক্ষ চাঁদ আলীর বিরুদ্ধে।
অভিয়োগ সৃত্রে জানা গেছে করমদী গ্রামের মৃত বাদেশ মোল্লার নামে আর এস১৪৪৮,২০৫০ নং খতিয়ান প্রচলিত থাকা অবস্থায় তিন পুত্র জমির উদ্দিন, মিনহাজউদ্দিন, মজনু, বাদেশ মোল্লার স্ত্রীর নামে আর এস ১১৫৪২,১১৫৪১,১১৭৭৮ দাগে বাড়ীর ৭০ সতক বাড়ীর জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে মারা যান।
অসহায় মিনহাজ উদ্দিন তার বাবার দেওয়া জমিতে বাড়ী নির্মাণ করে দীর্ঘ ৬০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। হঠাৎ মিনহাজ উদ্দিনের বড় ভাই জমির উদ্দিন তার অংশের জমি গোপনে ওই গ্রামের প্রতিপক্ষ চাঁদআলীর নিকট বিক্রয় করেন, দলিল রেজিস্ট্রির সময় চাঁদআলী তিন ভাইয়ের পজিশন একজনের কাছ থেকে নকশা করে নিয়ে জোরপূর্ব দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মাতব্বরদের নিয়ে অনেকবার শালিক মীমাংসার জন্য বসলেও চাদঁআলী মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে তার ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক তিন ভাইয়ের পজিশন একাই দখল নেবে বলে মীমাংসা
মানেননি।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, চাদঁআলীর ৮ জন্য ছেলে এবং তার অনেক লোকবল থাকায় এই অসহায়ের জমি জোরপূর্বক নেয়ার চেষ্টা করছে এবং তারা কারোর কথা শোনেন না। কিছু বলতে গেলে তাদের হত্যা করবে মর্ম হুমকি দিচ্ছেন। এর আগে মিনহাজ উদ্দিন কে মারধর করেছে ভয়ে মিনহাজ উদ্দিন কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ পড়েছেন।
ভুক্তভোগী করমদী গ্রামের মৃত বাদেশ মোল্লার ছেলে মিনহাজ উদ্দিন জানান,আমার বাবা মৃত্যুর আগে আমার মাসহ আমাদের তিন ভাইকে সমান ভাবে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন এবং দলিলে কোন সাইড উল্লেখ ছিল না।সেই থেকেই আমরা এজমালিভাবে ৭০ শতক জমি নিজ অংশ মোতাবেক বাড়ি করে বসবাস করছি।
এর মধ্যে আমার বড় ভাই জমির উদ্দিন মেহেরপুর শহরে বাড়ী করে বসবাস করে, আমার বড় ভাই জমির উদ্দিন তার অংশের জমি আমার গ্রামের প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল বাহিনীর একজনের কাছে গোপনে বিক্রয় করেছেন। দলিল করার সময় আমাদের জমির পজিশনসহ রাস্তার পাশ দিয়ে নকশা করে বিক্রয় করে দিয়েছেন।
তার পর থেকে আমার গ্রামের প্রতিপক্ষ চাঁদআলী জোরপূর্বক আমার বাড়ীর প্রবেশ পথসহ বাড়ী দখলের চেষ্টা করছে। চাঁদআলী গায়ের জোরে এগুলো করছে আমি নিষেধ করলে আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধা চাঁদআলী জানান,আমি মিনহাজ উদ্দিন জমির পজিশন এখন নেব না। পরে নিবো। তার বড় ভাইয়েরা আমাকে রাস্তার পজিশন দিয়েছে তাই আমি নিয়েছি। আমার জমিতে গাছ গাছালী কেটে দিয়েছিল।