এম এইচ হাফিজ:
নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান। সভায় আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, দেশে যে কোন ধরনের অরাজকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ভূমিকা পালন করছে এবং শক্ত অবস্থানে আছে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নেই। আর সন্ত্রাসীদের কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বডি অন ক্যামেরা ক্রয়ের প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে উপদেষ্টা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি মোটামুটি সন্তোষজনক। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। প্রশিক্ষণ শেষ হয়ে গেলে দু’একটা রিহার্সেল দেয়া হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোতায়েন করা হবে পুলিশের দেড় লক্ষ সদস্য, সেনাবাহিনীর প্রায় এক লক্ষ সদস্য, বিজিবি’র প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার সদস্য, আনসারের আনুমানিক পাঁচ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার সদস্য।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের অগ্রগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে এবং আরো বেগবান করা হবে। কিছু কিছু অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, বাহিরে আছে সেগুলো যাতে দ্রুত উদ্ধার হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে। এটা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, রাস্তার পাশে যে বিভিন্ন দোকানে তেল বিক্রি হয় এটা কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে। অনেক সময় এ তেল ব্যবহার করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তাছাড়া মেট্রো রেল, রেল স্টেশন, ট্রাইবুনাল সহ কেপিআই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কয়েক জায়গায় বাসে আগুন ও কয়েকটি কটকেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো যাতে আর না ঘটে, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি এসময় সকল রাজনীতি দলকে অগ্নিসংযোগ সহ সকল ধরনের নাশকতা প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, যে সন্ত্রাসীগুলো জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে তারা অন্য কোন অপরাধ বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে পুনরায় তাদের গ্রেফতার করা হবে।
নির্বাচনকে সামনে রেখে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে কোন সন্ত্রাসী আসার সম্ভাবনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে নিরাপত্তা আরো কঠোর করা হচ্ছে যাতে কোন ধরনের সন্ত্রাসী দেশে না ঢুকতে পারে এবং দেশের ভিতর কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে।