শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় দুই শিশুসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের জন্য রাফাহ ক্রসিং আংশিক খোলার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল।
বুধবারের (৩ ডিসেম্বর) এই হত্যাকাণ্ডের আগে ইসরাইলি বাহিনী অভিযোগ করেছে, মিসর সীমান্তের কাছে দক্ষিণ রাফায় হামাস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে তাদের চার সৈন্যকে আহত করেছে।
চিকিৎসকদের মতে, উত্তর গাজা সিটির জেইতুন উপকণ্ঠে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি এবং দক্ষিণ আল-মাওয়াসি শিবিরে হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আল-মাওয়াসিতে বোমা হামলার ফলে আগুন লেগে বেশ কয়েকটি তাঁবু পুড়ে যায়।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, ‘আল-মাওয়াসিতে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দুই শিশুসহ পাঁচজন নাগরিক নিহত এবং অন্যরা আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।’
কুয়েতি হাসপাতালের সূত্র জানিয়েছে, নিহত শিশুদের মধ্যে একজনের বয়স আট বছর এবং অন্যজনের বয়স ১০ বছর। এছাড়াও আরো ৩২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনী কমপক্ষে ৫৯১ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। যার ফলে কমপক্ষে ৩৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৯২২ জন আহত হয়েছে।
এদিকে বুধবার ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির মাধ্যমে হামাসের কাছ থেকে গাজায় অবশিষ্ট দুই পণবন্দীর মধ্যে একজনের লাশ পেয়েছে।
এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার বক্তব্যে বলেন, হামাসের ফেরত দেয়া লাশটি কোনো পণবন্দীর নয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরই হামাস লাশ হস্তান্তর করে।
ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে হামাস ইসরাইলে আটক প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের বিনিময়ে ২০ জন জীবিত পণবন্দী এবং ২৬ জন লাশের ফিরিয়ে দিয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা