নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিন বাহিনী প্রধান

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক শেষে বেলা ১টা ৫ মিনিটের দিকে তিন বাহিনী প্রধানগণ নির্বাচন কমিশন ভবন ছেড়ে যান।

ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তাদের বিদায় জানান।

আজ রোববার বেলা ১২টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিন বাহিনী প্রধানগণের সঙ্গে ইসি’র এই বৈঠক শুরু হয় বলে ইসি সচিবালয়ের পরিচালক জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বাসস’কে নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান যোগ দেন।

এর আগে তারা নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনী প্রধানকে পৃথক পৃথকভাবে অভ্যর্থনা জানান।

বৈঠকে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা সংক্রান্ত ইসির একটি সভা আজ দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে হওয়ার কথা রয়েছে।

ইসি সচিবালয়ের পরিচালক জনসংযোগ ও তথ্য কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন মল্লিক বাসস’কে জানান, রোববার দুপুর ১২টায় তিন বাহিনী প্রধানগণ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দুপুর আড়াইটায় আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা হবে। সভাশেষে বেজমেন্টে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।

এ বিষয়ে আজ ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি সভা ২১ ডিসেম্বর রোববার, সকাল ১০টার পরিবর্তে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় নির্বাচন কমিশনারগণ উপস্থিত থাকবেন।’

সভার আলোচ্য সূচি : নির্বাচন পূর্ব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম।

প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা ২০২৫ অনুযায়ী আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে।বাসস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *