শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জেরে প্রতিবেশি দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। কেননা দুই দেশই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের কথা জানাচ্ছে। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা তথ্য দিয়েছে। এতে পাকিস্তানও তাদের পাল্টা জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছে। ভারতীয় আগ্রাসনের মোকাবিলায় পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে ফোনালাপের সময় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। দক্ষিণ এশিয়াতে চলমান সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
ফোনালাপে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশ সকল ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানায়। পাশাপাশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে দেশটির উল্লেখযোগ্য ত্যাগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন শেহবাজ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একতরফা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পেহেলগামের ঘটনা উন্মুক্ত ও নিরপক্ষভাবে তদন্তের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদের অজুহাতে কাশ্মীরের মুক্তি আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, ভারত অবৈধভাবে জম্মু ও কাশ্মীর দখল করে আছে। যা উদ্বেগের। শেহবাজ বলেছেন, ২৪ কোটি মানুষের জীবনধারণের উপায় হচ্ছে পানি। এক্ষেত্রে সিন্ধু অববাহিকার পানিতে ভারতের অপ্রতিরোধ্য অস্ত্র ব্যবহারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। ভারতের যেকোনো দুঃসাহসিক কাজের জবাবে পাকিস্তান তার পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করে নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে বলে জোর দিন শেহবাজ। জাতিসংঘের মহাসচিবকে তিনি ভারতের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ এবং সংযম প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
শেহবাজ উল্লেখ করেছেন, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেবে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীরের অমীমাংসিত সমস্যা দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে টিকে আছে। এ বিষয়টি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন এবং এর ন্যায্য সমাধানে ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান শেহবাজ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বশীল সদস্য এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার প্রতি পাকিস্তানের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।