মেহেরপুরে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে মৌসুমী জ্বরের প্রকোপ,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে রোগীর চাপ

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ছে মৌসুমী জ্বরের প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধই বেশি। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোগীর ভীড়ে হিমশীম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে ওষধ সংকট।

মেহেরপুরে ঘর ঘর এখন মৌসুমি জ¦রের প্রকোপ। জ¦রের প্রভাবে বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক, শ্বাসকষ্টজনিত রোগী এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের দেখা গেছে, রোগীর ভীড়। অনেকেই শয্যাই জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে মেঝেতে শুয়েই চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীরা জানান, জ্বরের সঙ্গে শরীরে প্রচন্ড ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। এক সপ্তাহ থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভুগতে হচ্ছে। জ্বর ভালো হওয়ার পরও শারীরিক ক্লান্তি থাকছে দীর্ঘদিন। যার ছাপ পড়ছে দৈনন্দিন কাজে। ঠিকমতো খেতে পারছে না অনেকেই। চিকিৎসকরা বলছেন, সাত থেকে ১০ দিনের চিকিৎসায় জ¦র থেকে রেহায় পেলেও শারীরীক দুর্বলতা কাটতে অন্তত একমাস সময় লাগবে।

হাসপাতাল সূত্র বলছে গত এক সপ্তাহে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি হয়েছেন প্রায় তিন হাজার রোগী। এদের মধ্যে অধিকাংশই জ¦রে আক্রান্ত শিশু ও বয়স্ক। জ¦রের রোগী হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে ওষধ সংকট।

আক্রান্ত রোগীরা জানান,প্রথমে মাথা ও শরীর ব্যাথা হচ্ছে তার পর কাপুনি দিয়ে প্রচন্ড জ¦র সাথে কাশি। পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে সেই পরিবারের সকলেই আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন এবং মুমুর্ষ হয়ে পড়ছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পণা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল আল আজিজ বলেন, জুলাইয়ের শুরু থেকে এই জ¦রের প্রকোপ বেড়েছে। এটি আমরা ইনফ্লুয়েন্জা বলে মনে করছি। তবে অন্তত সাত থেকে ১০ দিন চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তবে জ¦র অনুভুব হলে দ্রত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *