শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে বন্ধ হওয়া আইপিএল ৯ দিন পর শনিবার (১৭ মে) থেকে ফের মাঠে ফিরছে। তার আগেই হঠাৎ এক চমক জাগানো খবর। টুর্নামেন্টটির বাকি অংশে খেলার জন্য রেকর্ড মূল্যে টাইগার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন দল। তাকে ভিড়িয়েছেন দিল্লি ক্যাপিটালস। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাগার্কের পরিবর্তে মুস্তাফিজকে ডেকে নিল দিল্লি।
তবে ফিজ আইপিএলের খেলবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। কেননা মুস্তাফিজ জাতীয় দলের সঙ্গে গতকাল ঢাকা ছেড়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে। এছাড়া বিসিবির সঙ্গেও ছাড়পত্রের জন্য এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যোগাযোগ করেনি ফিজ কিংবা আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিটি।
স্থগিত হওয়া আইপিএলের ফাইনালসহ বাকি রয়েছে এখনো ১৮ ম্যাচ। এর মধ্যে প্রথম পর্বে দিল্লির বাকি রয়েছে তিন ম্যাচ। এই তিন ম্যাচের জন্য মুস্তাফিজকে স্কোয়াডে ৬ কোটি রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার ওপরে। তবে মুস্তাফিজ ভারতে এই টুর্নামেন্টে খেলতে যাবেন কি না, সেটা নিয়েই ধোয়াশা। কেননা আগামী ১৭ ও ১৯ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ মাঠে নামবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে।
এই সফরের ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছেন মুস্তাফিজ। গতকাল দলের সঙ্গে ছেড়েছেন দেশও। এছাড়া একই স্কোয়াড সূচি চূড়ান্ত হলে সেখান থেকে যাবে পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে। আর আইপিএলের দিল্লির বাকি তিন ম্যাচ ১৮, ২১ ও ২৪ মে। অর্থাৎ বিসিবির থেকে এনওসি না পেলে দলের সঙ্গ ছেড়ে আইপিএলে খেলতে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না কাটার মাস্টার।
এদিকে মুস্তাফিজের আইপিএলে খেলার বিষয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এখনো মুস্তাফিজ বা তার হয়ে কেউ অনাপত্তিপত্র চায়নি। কেউ অনাপত্তিপত্র চাইলে তারপর এটা নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে। এখন পর্যন্ত আমরা এটাই জানি মুস্তাফিজ জাতীয় দলের হয়ে সিরিজ খেলতে আমিরাতে যাচ্ছেন।’ সব মিলিয়ে ঘোলাটে পরিবেশ। দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মুস্তাফিজকে ভেড়ানোর খবর জানালেও ফ্রাঞ্চাইজিটি দলে তাকে পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেনি বিসিবির সঙ্গে! তাহলে তারা কীসের ভিত্তিতে নিশ্চিয়তা দিল? এ নিয়েই চলছে আলোচনা।
এর আগে ভারতের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের ১৮তম আসরের ড্রাফটে এককথায় বলা চলে উপেক্ষিতই ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, তাওহীদ হৃদয়, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমানসহ ড্রাফটে ছিল ১২ জন লাল-সবুজের প্রতিনিধি। তবে কোনো ফ্রাঞ্চাইজি তাদের দলে ভেড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেনি। দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা আশা করেছিলেন হয়তো কাটার মাস্টার ফিজ দল পাবেন। কারণ সবশেষ কয়েক আসর ধরে নিয়মিতিই তিনি দল পাচ্ছিলেন। তবে ড্রাফটের পর সবাই হতাশ হন। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে বন্ধ হওয়া আইপিএল ছেড়ে অনেক বিদেশি চলে যাওয়ায় এবং টুর্নামেন্ট শুরুর কথা শোনার পরও তারা না ফেরার কথা জানানোতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর স্কোয়াড পূরণ করতে হাঁটছে বিকল্প পথে সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন ফিজ।
দিল্লি ক্যাপিটালে এর আগেও একবার খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। ২০২২ সালে নিলাম থেকে মুস্তাফিজকে কিনে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেবার তিনি দিল্লির হয়ে খেলেন মোট আটটি ম্যাচ, নেন ৮ উইকেট। পরের বছর আরো একটি উইকেট যোগ হয় মোস্তাফিজের নামের পাশে। শুধু দিল্লি ক্যাপিটালসই নয়, ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে প্রায় নিয়মিত আইপিএল খেলে আসছিলেন মুস্তাফিজ।