‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসবে রাশিয়া-ইউক্রেন: ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসবে রাশিয়া ও ইউক্রেন। স্থানীয় সময় সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলাপের এ কথা জানালেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, উভয় নেতার আলোচনাকে ফলপ্রসূ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, তাদের মধ্যে চমৎকার আলোচনা হয়েছে। তবে শান্তি আলোচনার জন্য উভয় পক্ষেরই আলোচনা করে শর্ত নির্ধারণ করা প্রয়োজন বলে জোর দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তার আশাবাদ সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তি যে খুব কাছাকাছি এমন মনে হচ্ছে না। এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির স্মারকলিপি নিজে কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পুতিন। তবে জেলেনস্কি বলেছেন, এটি এমন মুহূর্ত যা সংজ্ঞাহীন। যুক্তরাষ্ট্রকে এ বিষয়ে আলোচনা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করা হলেও শান্তি আলোচনার নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও ইউক্রেনের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়েও কোনো আলাপ করেননি পুতিন। জেলেনস্কির সঙ্গেও একান্ত আলাপ করেছেন ট্রাম্প। সেখানে পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেনের আকাঙ্ক্ষার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জেলেনস্কি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, মস্কো যদি প্রস্তুত না থাকে তাহলে তাদের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা হওয়ার আগে তার দেশ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন জেলেনস্কি। এসব বিষয় ইউক্রেনের নীতিগত বিষয় বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন ডার লেন বলেছেন, ট্রাম্পের শান্তিচেষ্টা প্রশংসনীয়। যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় সক্রিয় থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানান, পোপ লিওর প্রস্তাবিত মধ্যস্থতা ও আলোচনা আয়োজনের স্থান হিসেবে ভ্যাটিকানের প্রস্তাবকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য নেতারা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। মূলত এর আগে পুতিন তুরস্কে সরাসরি বৈঠকের জন্য জেলেনস্কির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এরপর ভ্যাটিকানকে আলোচনার ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দেন পোপ। রাশিয়া অবশ্য আগে একাধিকবার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। ৮-১১ মে পর্যন্ত একবার এবং ইস্টার উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টার জন্য আরেকবার। কিন্তু কিয়েভ বলেছে, পুতিনের ওপর বিশ্বাস রাখা যায় না এবং একটি নিরবচ্ছিন্ন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *