মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে দুদকের অভিযান: অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ও অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি :

মেহেরপুরের গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযান চালিয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বিরুদ্ধে ভুয়া শিক্ষাগত সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে পদে বহাল থাকার অভিযোগসহ অর্থ আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে দুদক কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের সময় কলেজের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন দুদক কর্মকর্তারা। দুদক সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ পদে বহাল রয়েছেন। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে   । এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত চালাতে কলেজে যায় দুদকের একটি দল।
অভিযান চলাকালে অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী কলেজে উপস্থিত ছিলেন না। তবে অভিযানের সময় কলেজে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং অনেক শিক্ষক-কর্মচারী দুদক  কর্মকর্তাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন বলে জানান তারা। দুদকের সহকারী পরিচালক বুলবুল আহমেদ বলেন, “আমরা কমিশনের আদেশে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছি। কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ
আলীর বিরুদ্ধে জন্ম সনদ, সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অধ্যক্ষ ছুটিতে থাকায় আজ তাঁকে কলেজে পাইনি। তবে আমরা সমস্ত কাগজপত্র চেয়েছি। কিছু হিসাব চেয়েছি, যেগুলো তিনি দিতে পারেননি, পরে দিবেন বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে অর্থ আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে। পরবর্তীতে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *