শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
নেপালকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব ২০ নারী চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয়ী হয়ে অপরাজিত থেকেই শিরোপা জয় করে আফঈদা খন্দকারের দল। ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ চার গোল করেছেন আগের তিন ম্যাচে নিষিদ্ধ থাকা সাগরিকা।
ম্যাচের আগে উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দুই দলের খেলোয়াড়রা এক মিনিটের নীরবতা পালন করেন।
তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজ দলে ফিরেছিলেন সাগরিকা। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে বড় জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সাগরিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষেও তিনি গোল পেয়েছিলন। কিন্তু সেই ম্যাচে নেপালের ডিফেন্ডার সিমরানের সাথে বিতন্ডায় জড়িয়ে লাল কার্ড পান সাগরিকা। আর এর ফলে তিন ম্যাচ তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বসুন্ধরা কিংস এরেনায় আজকের ম্যাচে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল। আগের পাঁচ ম্যাচ থেকে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট অর্জণ করা পিটার বাটলারের দলের এই ম্যাচে ড্র করলেই শিরোপা নিশ্চিত হতো। সেই সমীকরণে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ শুরু থেকেই আক্রমন করে খেলতে থাকে। ৮ মিনিটে মধ্যমাঠের থ্রু পাস থেকে সাগরিকা নেপালের রক্ষনভাগের মধ্য দিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে জড়ান। ১৫ মিনিটে সমতা ফেরানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করে নেপাল। বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিলি আক্তার অনেকটা বাইরে বেরিয়ে আসলে নেপালি ফরোয়ার্ড পূর্নিমা রাইয়ের ভলি পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলও জালে জড়াতে ব্যর্থ হয় নেপাল। চার মিনিট পর মুনকি আক্তারের শট লাইনের উপর থেকে ক্লিয়ার করেন নেপালের ডিফেন্ডার আনিশা রাই।
বিরতির পরও বাংলাদেশই ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে। ৫২ মিনিটে বক্সের সামনে নেপালের তিন ডিফেন্ডারের মাঝে বল পান সাগরিকা। কোন ভুল না করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই ফরোয়ার্ড। পাঁচ মিনিট পর আসরে নিজের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৭৬ মিনিটে মুনকির এ্যাসিস্টে নিজের এবং একইসাথে দলের চতুর্থ গোলটিও পেয়ে যান সাগরিকা। দারুণ ফিনিশিংয়ে বাংলাদেশকে বড় জয় উপহার দেন সাগরিকা।
বাংলাদেশ একাদশ:-
মিলি আক্তার, আফঈদা খন্দকার, নবীরন খাতুন, জয়নব বিবি রিতা, স্বপ্না রানী, ঐশি খাতুন, মোসাম্মত সাগরিকা, উমেলহা মারমা, মুনকি আক্তার,পূজা দাস ও শান্তি মার্ডি।