ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী যুবক নিহত

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিল্লাত হোসেন (২০) ও লিটন (৩২) নামে দুই বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আফসার (৩০) নামে অন্য একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিল্লাত হোসেন ও লিটন দুইজন যথাক্রমে বাঁশপদুয়া গ্রামের ইউসুফ আলী ও আবুল কালাম গাছি মিয়ার ছেলে এবং আহত আফসার পেয়ার আহমদের ছেলে।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: মোশারফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, রাত প্রায় ১২টার দিকে সীমান্তে গুলির শব্দ শুনে তারা বাড়ি-ঘর থেকে বের হন। তারা আফসার ও মিল্লাত হোসেন নামের দু’জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দু’জনকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখানে আনার আগেই মিল্লাত হোসেন মারা যান। গুলিবিদ্ধ আফসারের অবস্থা সংকটজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, লিটন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেলে বিএসএফ সদস্যরা লাশ বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, ‘খবর পেয়ে বিজিবির গুথুমা বিওপি টহল দল ২১৬৪/৩এস পিলারের কাছে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন যে উল্লেখিত বাংলাদেশীরা পিলার অতিক্রম করে ভারতের ভিতরে ঢুকে এবং বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে।’
বিএসএফের দায়িত্বশীল সূত্র বিজিবিকে জানিয়েছে, ‘তারা চোরাকারবারির জন্য সীমান্ত অতিক্রম করে।
তাদের দাবি ‘সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দু’দেশের চোরাকারবারিরা একত্রিত হয়। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশী অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফ গুলি করলে তারা মালামাল ফেলে পালিয়ে যায়।’
তারা বিজিবির কাছে আরো দাবি করে, ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
ফেনীস্থ ৪ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোশাররফ হোসেন জানান, বাংলাদেশীরা কেন শূন্য লাইন অতিক্রম করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পতাকা বৈঠক ও প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
তবে হতাহতদের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, ‘তারা বন্যার পানিতে কৃষি জমিতে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ গুলি ছোড়ে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *