শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
ইসরাইল গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখল করে সেখানে দীর্ঘমেয়াদি দখলদারিত্ব কায়েমের পরিকল্পনা করেছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। রোববার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র যেমন টোকিও ও বার্লিনে দখল প্রতিষ্ঠা করেছিল, ইসরাইলও ঠিক তেমনটিই গাজায় করতে যাচ্ছে।
গ্রাহাম বলেন, ইসরাইলি নেতৃত্বের কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান হলো পূর্ণ দখল। তারা এখন বিশ্বাস করে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এমন একটি পরিণতি ছাড়া আর কোনো উপায় নেই যা ইসরাইলের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রেরও ধারণা হচ্ছে, এ যুদ্ধে হামাসের সঙ্গে কোনো অর্থবহ সমঝোতার মাধ্যমে শেষ করা সম্ভব নয়।
গ্রাহাম বলেন, গাজার পরিণতি হবে টোকিও এবং জার্মানির মতো—সামরিক শক্তিতে এলাকা দখল করে পুরোপুরি নতুন করে শুরু করা।
তিনি আরও জানান, ইসরাইল হয়তো হামাস যোদ্ধাদের জন্য গাজা ছেড়ে যাওয়ার নিরাপদ পথ খুলে দিতে পারে, যদি তারা বন্দিদের মুক্তি দেয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো সদিচ্ছা নেই বলেই মার্কিন মধ্যস্থতাকারী দলকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত যে প্রস্তাব ছিল, তাতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত এবং ১৮ জন মৃত ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তবে আলোচনার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে দুই পক্ষের মৌলিক দাবিতে। হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইসরাইল বলছে, হামাসকে নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত সামরিক অভিযান থামানো হবে না।
এ সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবরে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: আরটি