ভূমি ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আরো স্বচ্ছ জনবান্ধব ও হয়রানিমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ভুল ভূমি রেকর্ড প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে। ল্যান্ড সিঙ্গেল গেটওয়ে তৈরির মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন ডিজিটাল সার্ভিসগুলো একটি জায়গায় পাওয়া যাবে। জিপিএস এবং জিও ফেন্সিং ব্যবহারের মাধ্যমে ভূমির মালিক তার জমির সব ধরনের তথ্য গুগল আর্থে প্লট করে দেখতে পারবে।

পরবর্তী ধাপে এ জরিপের সাথে ভূমির মালিকানার ম্যাপিং করা হবে। এতে রাজস্ব আদায়ের তথ্য, নামজারি প্রক্রিয়া এবং মামলা থাকলে মামলার বর্তমান অবস্থার তথ্যগুলো সংযুক্ত করা হবে। নিজস্ব মোবাইল নম্বর দিয়ে অনলাইনে জমির নামজারির মাধ্যমে ঘরে বসেই পর্চা বা খতিয়ান সংগ্রহের পাশাপাশি অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবে। অনলাইনে ভূমির খাজনা দেওয়া, নামজারি, জমাখারিজ, খতিয়ান বা পর্চা সার্টিফায়েড কপি ও মৌজা ম্যাপ বা ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে হচ্ছে। ফলে সহজেই অনলাইনে এসব সেবা গ্রহণ করতে পারছে সেবাগ্রহীতাগণ। এতে সময়, শ্রম এবং ব্যয় সবই সাশ্রয় হচ্ছে।

          বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে সরাসরি ০৯৬১২৩১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা ভূমিসেবা পোর্টাল অথবা ‘ই-খতিয়ান’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করে খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি নিজ নিজ ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় স্থাপিত ভূমি ভবনের নিচতলায় নাগরিক ভূমি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে অথবা land.gov.bd অথবা ‘ভূমি উন্নয়ন কর’ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসেই এনআইডি নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। কর পরিশোধের সাথে সাথে নাগরিকগণ তাৎক্ষণিকভাবে অনলাইনে কিউআর কোডসমৃদ্ধ একটি দাখিলা প্রাপ্ত হচ্ছেন, যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির দাখিলার সমমানের এবং সর্বত্র গ্রহণযোগ্য। যাদের জমি নিয়ে জটিলতা রয়েছে তাদের প্রতিবছর মে মাসে ভূমি সেবা সপ্তাহে বা ভূমি মেলায় ও ভূমি অফিসগুলোতে আগ্রাধিকারভিত্তিতে সেবা প্রদান  করা হবে।

ভূমিসেবার সাথে যুক্ত হয়েছে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস)। এতে নাগরিকের অনলাইন সিস্টেমে পরিশোধিত ফিসমূহ তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে। এছাড়া, সারা দেশে ভূমিসেবার অনলাইনে আদায়কৃত ফিস সরাসরি ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শিত হচ্ছে।

২৮ দিনের ঊর্ধ্বে কোনো নামজারি বিশেষ কারণ ছাড়া পেন্ডিং রাখা যাবে না। একই সাথে সকল পেন্ডিং ডিসিআরের জন্য এক্সেল তালিকা হতে নাগরিককে ফোন করে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করতে হবে। এ বিষয়ে মনিটরিং কর্মকর্তা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। এছাড়া আইবাসের মাধ্যমে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ পরিশোধ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিদ্যমান সফটওয়্যারগুলো আপডেট করে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য গত ১ ডিসেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে উন্মুক্ত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *