আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফর করবেন।
ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
স্থানীয় সময় রোববার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ‘আমার ধারণা, উইটকফ আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবার রাশিয়া যাবেন।’
তিনি আরো জানান, রুশ সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ-এর সঙ্গে অনলাইনে বাকবিতণ্ডার পর তিনি দুইটি ‘পারমাণবিক সাবমেরিন’ মোতায়েন করেছেন, যেগুলো এখন ‘ওই অঞ্চলে’ অবস্থান করছে।
তবে সাবমেরিন দুটি পারমাণবিক-শক্তিচালিত না কি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত তা তিনি স্পষ্ট করেননি। সাবমেরিনগুলোর অবস্থানও গোপন রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিতে রাশিয়াকে আগামী সপ্তাহের শেষে ট্রাম্পের নির্ধারিত সময়সীমার পটভূমিতে পারমাণবিক অস্ত্রের এই মহড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া রাশিয়াকে অনির্দিষ্ট নতুন নিষেধাজ্ঞারও মুখোমুখি হতে হবে।
সম্প্রতি তিনি একাধিকবার রাশিয়া সফর এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, ‘উইটকফের বার্তা মস্কোর প্রতি কী হবে এবং নিষেধাজ্ঞা এড়াতে রাশিয়া কিছু করতে পারে কিনা, তখন ট্রাম্প উত্তর দিয়েছিলেন: “হ্যাঁ, এমন একটি চুক্তি হতে পারে। কারণ যেখানে মানুষ মারা যাওয়া বন্ধ করতে হবে।’
ট্রাম্প পূর্বে হুমকি দিয়েছিলেন যে নতুন পদক্ষেপের অর্থ রাশিয়ার অবশিষ্ট বাণিজ্য অংশীদার, যেমন চীন এবং ভারতকে লক্ষ্য করে ‘দ্বিতীয় শুল্ক’ আরোপ করা হতে পারে। এটি রাশিয়াকে আরো দমিয়ে রাখবে, তবে উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক ব্যাঘাতের ঝুঁকি তৈরি করবে।
ওয়াশিংটনের চাপ সত্ত্বেও, তার পশ্চিমাপন্থী প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
পুতিন ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তিনি শুক্রবার বলেছেন তিনি শান্তি চান তবে তার প্রায় সাড়ে তিন বছরের আগ্রাসন বন্ধ করার ব্যাপারে দাবিসমূহ ‘অপরিবর্তিত’ রয়েছে।
এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ত্যাগ করা এবং ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বন্ধ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুতে ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এই যুদ্ধশিগগিরই শেষ হবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ তখন থেকেই তীব্রতর হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, মস্কোর মারাত্মক আক্রমণাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য ট্রাম্প পুতিনের প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন।