মেহেরপুরের ধানখোলা সড়কে ককটেল ফাঁটিয়ে গাছে বেঁধে আবারো ডাকাতি

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

মেহেরপুরের গাংনী-ধানখোলা সড়কের একই স্থানে ককটেল ফাঁটিয়ে আবারো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫-২০ জন নারী ও পুরুষ পথচারীদের কাছ থেকে নগদ ১ লক্ষাধিক টাকাসহ মালামাল লুট করে ডাকাতদল।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ছিল গাংনী বাজারের সাপ্তাহিক হাট। এ হাট- বাজার থেকে গাংনী উপজেলার ধানখোলা, মহিষাখোলা,আড়পাড়া ও শানঘাটসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ গাংনী-ধানখোলা সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। গাংনী থানার অদূরে সড়কের বিল্লাল নার্সারী নামক মোড়ে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা ১৫-২০ জনের একটি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে একে একে পথচারীদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে সড়কের পাশে নামিয়ে নিয়ে তাদের গাছের সাথে বেঁধে রাখে ও কয়েকজনকে মারধর করে। তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তবে বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে,খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ডাকাতদলের কবলে পড়া মহিষাখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম
জানান,গাংনী শহর থেকে ভ্যানযোগে বাড়ি ফিরছিলাম। গাংনী থানা সড়কের বিল্লাল নার্সারীর নিকট পৌঁছালে,ডাকাত সদস্যরা গতিরোধ করে বেঁধে রাখে। এসময় কাছে থাকা কিছু টাকা কেড়ে নেয় তারা। এমনই ভাবে ওই সড়ক দিয়ে আসা সকলকেই এভাবে গতিরোধ করে টাকা ও মালামাল কেড়ে নেয়।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল জানান,ডাকাতদের আটক করতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে।
উল্লেখ্য,জেলার গাংনী উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ছেউটিয়া নদীর দুপাশে দুটি সড়ক রয়েছে। একটি গাংনী-ধানখোলা সড়ক। অন্যটি গাংনী-বারাদী সড়ক। এ দুটি সড়কের এ পর্যন্ত অন্ততঃ ২০ বারের মতো ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির ঘটনার পর কয়েকদিন পুলিশি তৎপরতার পর তা থেমে যায়। আর ডাকাতরা এ সুযোগটি কাজে লাগায়।
গত কয়েক মাস পূর্বে একই স্থানে অর্থাৎ গাংনী-ধানখোলা সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর আবারো এ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কারণ,ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ভয়ে সন্ধ্যার পরই এ সড়কে মানুষ চলাচল খুবই কম হয়। এ নিয়ে স্থানীয় অনেকেই প্রশাসনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *