ফারাক্কায় গঙ্গার পানি প্রবাহের দুই দিনের পর্যবেক্ষণ শেষ, বৃহষ্পতিবার কলকাতায় কারিগরী কমিটির বৈঠক

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

ফারাক্কায় গঙ্গার পানিপ্রবাহের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে গত দুই দিন ধরে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন বাংলাদেশ ও ভারতের কারিগরি বিশেষজ্ঞ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার ও বুধবার বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল বাঁধের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। গঙ্গার ভাটি এলাকায় পানির স্তর ও ফিডার খালগুলো তারা পর্যবেক্ষণ করেন । সঙ্গে ছিলেন ফারাক্কা বাঁধের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডেসহ ভারতীয় কারিগরী বিশেষজ্ঞরা। ফারাক্কা বাঁধের জেনারেল ম্যানেজার আর ডি দেশপান্ডে জানান, পানি প্রবাহের নানা বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং গঙ্গার পানির প্রবাহ নিয়ে তথ্য বিনিময় করেছি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শুষ্ক মওসুমে প্রাকৃতিক কারণেই প্রতি দশ দিনে গঙ্গার পানির স্তর হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। কলকাতার বৈঠকে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ফারাক্কায় গঙ্গায় পানির প্রবাহ ছিল ৬৮ হাজার কিউসেক। তবে ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত ভারত ও বাংলাদেশ গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন চুক্তি অনুযায়ী শুষ্ক মওসুমে পানির স্তর অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রতি দশ দিনে ৩৫ হাজার কিউসেক ও ভারত ৪০ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা বলা রয়েছে।
ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের কারিগরি বিশেষজ্ঞরা সোমবার কলকাতায় পৌঁছানোর পরই ট্রেনযোগে ফারাক্কায় যান। সেখানে দুই দিন ধরে চলে পর্যবেক্ষণ। এই পর্যবেক্ষণের সমস্ত তথ্য বৃহষ্পতিবার কারিগরী বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের তত্ত্বাবধনে দুই দেশের কারিগরী বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাবও দেওয়া হতে পারে। তবে বৈঠকের সিদ্ধান্ত সমূহ দুই দেশই তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পেশ করবেন। তার ভিত্তিতেই আগামী দিনে চুক্তির পুনর্নবীকরনের আলোচনা হবে। তবে কমিশনের বৈঠক কবে হবে তা এখনো জানা যায় নি।
উল্লেখ্য, গঙ্গা-পদ্মা পানি চুক্তি ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই হিসেবে ৩০ বছর মেয়াদি সেই চুক্তির পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে।
৫ দিনের সফর শেষে ৮ মার্চ কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নির্দিষ্ট উড়ানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি ঢাকায় ফিরে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *