নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির তরুণ প্রজন্মের কাছে আইকন হয়ে উঠছে মুন্সি আসাবুর রহমান আরাফাত।
আরাফাত শুধু তরুণদের আইকন নয় নড়াইল-১ আসনের সর্ব শ্রেণীর মানুষের কাছে এক জনপ্রিয় নাম। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা আরাফাতের স্বপ্ন ধ্যান জ্ঞান মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত করা। সুখে দুখে দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বংশ পরিক্রমায় জনগণের সেবা নেশায় পরিণত। আরাফাতের বাবা মুন্সি লাল মিয়াকে নড়াইলের মানুষ দানবীর উপাধি দিয়েছেন। নড়াইলবাসী তাকে দানবীর লাল মিয়া মুন্সি নামে ডাকতেন।
দানবীর মুন্সী লাল মিয়া, তিন তিনবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান ও এক বার ভারপ্রাপ্ত উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা। করেছেন অনেক উন্নয়নমূলক কাজ।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে মুন্সী লাল মিয়ার চাচা জনাব আব্দুল হাকিম পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রী এবং স্পিকার ছিলেন। আরেক চাচা তৎকালীন ব্রিটিশ ঋণশালী যশোর বোর্ডের ৪৫ বছরের চেয়ারম্যান মুন্সী মোজাহের উদ্দিন। মুন্সি লাল মিয়ার আরেক চাচা মুন্সী নুরুল হক খাশিয়াল ও কোটাকোল ইউনিয়নে ৩৫ চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরাফাতের রক্তের ধারায় যেন জনগণের সেবা প্রবাহিত। তাই ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্র দলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
মুন্সী আসাবুর রহমান আরাফাত যুগ্ন আহবায়ক স্বেচ্ছাসেবক দল নড়াইল জেলা। সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত রহমান স্মৃতি সংসদ নড়াইল জেলা।
মহাসচিব- মুন্সী লাল মিয়া স্মৃতি সংসদ।
এবং ছাত্র জীবনে ছিলেন যুগ্ন আহবায়ক- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ২০১৪ সালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ দলীয় ছাত্র ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নেতৃত্ব যেন রক্তে মেশা, স্কুলে পড়া কালিন বন্ধুদের নিয়ে ছুটে যেতেন মিছিল মিটিং সমাবেশে। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে এসে ইয়ার কমিটির সভাপতি হন।
বহুগুণে গুণান্বিত মুন্সি আসাবুর রহমান আরাফাত সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান তরুণদের রাজনীতিতে প্রাধান্য দেয়ায়। বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চাপে নড়াইল-১ আসন থেকে নমিনেশন কেনার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। বিতর্কের উর্ধ্বে ক্লীন ইমেজের মুন্সি আসাবুর রহমান আরাফাত হতে পারে নড়াইল-১ আসনের চমক।
রাজনীতিতে কার অনুপ্রেরণায় আসলেন…? এই প্রশ্নের উত্তরে আরাফাত বলেন- আমার বড়ভাই এডভোকেট মুন্সি আনিচুর রহমান উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা।তার অনুপ্রেরণা আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই কিশোর মনে জাতীয়তাবাদী বিএনপির প্রতি আসক্ততা। আমার বড়ভাই এখন যশোর জজকোর্ট এর পিপি।