শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
প্রায় এক দশক পর নতুন করে পে কমিশন গঠন করেছে সরকার, যার সুপারিশের ভিত্তিতেই নবম পে স্কেল ঘোষণা করা হবে। নতুন স্কেলে শুধু বেতন বাড়ানোই নয়, গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য দূর করে বেতন কাঠামোর পুনর্গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বহু প্রতীক্ষিত নবম পে স্কেল ২০২৬ সালের মার্চের আগেই ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে। এতে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ দেশের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি/মার্চ/এপ্রিল) থেকে কার্যকর হতে পারে। এ বিষয়ে কাজ করছে সরকার গঠিত পে কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন পে স্কেলে মূল বেতন দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তবে প্রথম গ্রেডে সর্বোচ্চ মূল বেতন দাঁড়াবে ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা এবং ২০তম গ্রেডে সর্বনিম্ন বেতন হবে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
যদিও পে কমিশনের মতে, বিদ্যমান ২০টি গ্রেড কমিয়ে আনলে নিম্নতম বেতন আরো কিছুটা বাড়তে পারে। বর্তমানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১, যা নতুন কাঠামোতেও ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে রাখার কথা ভাবছে কমিশন।
দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আটটি পে স্কেল বাস্তবায়িত হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বোচ্চ আট বছরের ব্যবধানে নতুন পে স্কেল ঘোষণা হয়েছে।
২০১৫ সালের অষ্টম পে স্কেলে সর্বোচ্চ বেতন ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন বেতন ছিল ৮ হাজার ২৫০ টাকা।
নতুন বেতন স্কেলের খবরে খুশি দেশের সাড়ে ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বেসরকারি খাতে কাজ করা কয়েক কোটি মানুষ। বেতন বৃদ্ধির সঙ্গে রাজধানীতে জীবন ব্যয় বেড়ে যাবে। তবে বেসরকারি খাতে বেতন বৃদ্ধির কোনো সম্ভবনা নেই।