আনিসুর রহমান সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ফতেকান্দি গ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সুমি (৩০) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতের শেষ প্রহরে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন সুমি। প্রথমে বিষয়টিকে সাধারণ জ্বর ভেবে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়—তিনি ডেঙ্গু আক্রান্ত। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি।
গ্রামের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ডেঙ্গুতে মানুষ মরছে, অথচ পৌরসভা যেন ঘুমিয়ে আছে! মশা মারার কোনো ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না, ড্রেন-নালা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। প্রশাসন মাঠে নেই, শুধু পোস্টার আর প্রতিশ্রুতি।”
সোনারগাঁও পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে, তবুও পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম কাগজেই সীমাবদ্ধ। জনগণের প্রশ্ন — “মানুষ মরলে তবেই কি নড়বে প্রশাসন?”
জনগণের প্রাণের শহর সোনারগাঁও আজ মশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। সুমি নামের এই তরুণী হয়তো কেবল একজন নাগরিক ছিলেন, কিন্তু তার মৃত্যু যেন এক জাগরণী প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে “পৌরবাসীর খোঁজ রাখে কে?”