ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার অংশীদার দেশগুলোর কাছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে।

যার মধ্যে গাজায় একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ওয়াশিংটনের মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ নিরাপত্তা পরিষদের ১০ জন নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদার দেশের সঙ্গে একটি খসড়ার কপি দিয়েছেন ।

যুক্তরাষ্ট্র মিশনের এক মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, এই খসড়া প্রস্তাবটি নিয়ে মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্কের প্রতিনিধিদেরকেও খসড়ার কপি দেওয়া হয়েছে।

প্রস্তাবের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো না হলেও, কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, এটি মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা পরিষদের চলমান আলোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে কূটনৈতিক মহলে এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাকে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সমঝোতা বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

মার্কিন মিশনের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচিত ১০ সদস্যকে খসড়াটির কপি দিয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক অংশীদারও রয়েছে, যেমন— মিশর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক।

খসড়াটিতে ভোটের জন্য কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

মার্কিন বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে প্রস্তাবটি ‘শান্তি বোর্ডকে স্বাগত জানায়।’

এটি শান্তি পরিকল্পনায় বর্ণিত ‘আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ)-কেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্র অনুসারে, বেশ ক’টি দেশ আইএসএফ-এ অংশগ্রহণের জন্য তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সেনা মোতায়েনের আগে নিরাপত্তা পরিষদের আদেশের ওপর জোর দিয়েছে।

মার্কিন মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী নেতৃত্বে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও জাতিসংঘে ফলাফল প্রদান করবে এবং আলোচনা দীর্ঘায়িত হবে না।

আন্তর্জাতিক বাহিনী তৈরি করা চুক্তির একটি অংশ ছিল যা ৭ অক্টোবরের হামলার ফলে সৃষ্ট দুই বছরের ভয়াবহ সহিংসতার পর ১০ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *