আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টেস্ট শুরু

শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ। কলম্বোর ঐতিহাসিক সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে টেস্টটি। প্রথম ম্যাচে গলে দুই দলই দারুণ লড়াই করে ড্র করেছিল, ফলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে চার পয়েন্ট করে যোগ হয়েছে উভয়ের ঝুলিতে। তবে এবার কলম্বোতে বাংলাদেশ খেলতে যাচ্ছে এক ভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে—এই মাঠে অতীতে যেসব স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়। সেসব পাশে রেখে কেবল জয়েই নজর রেখেছে বাংলাদেশ, এমনটাই গতকাল কলম্বো থেকে জানিয়েছেন টাইগারদের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সবশেষ বাংলাদেশ খেলেছিল ২০০৭ সালে। এরপর দীর্ঘ ১৮ বছর পর এই মাঠে ফিরছে টাইগাররা। এখানে মোট তিন ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, তিন ম্যাচেই টাইগার বাহিনী হেরেছে বড় ব্যবধানে—দুটি ইনিংসে ও একটি ২৮৮ রানে। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে মোহাম্মদ আশরাফুল এই মাঠে রেখেছেন উজ্জ্বল ছাপ। এখানে তিন টেস্টে ব্যাট হাতে ৪৩ গড়ে করেছেন ২৬০ রান, যার মধ্যে রয়েছে অভিষেক সেঞ্চুরিও, যা এখনো টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের শতরানের রেকর্ড।
বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে গলে পাওয়া আত্মবিশ্বাস এবং তরুণদের ফর্ম দলকে প্রেরণা জোগাতে পারে। বিশেষ করে স্পিনার নাঈম হাসান প্রথম টেস্টে নিয়েছেন ৬ উইকেট, যা তার আত্মবিশ্বাসের বার্তা দিচ্ছে। এদিকে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রথম টেস্ট না খেলা মেহেদী হাসান মিরাজ এই ম্যাচে ফিরছেন, এমনটি ধরে নেওয়াই যায়।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার হয়ে গল টেস্ট দিয়ে বিদায় নিয়েছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার দুনিথ ভেল্লালাগে। মাত্র একটি টেস্ট খেলা এই স্পিনার শেষবার ২০২২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন। শ্রীলঙ্কার দলে আরও পরিবর্তন এসেছে পেস আক্রমণে— চোটে পড়া মিলন রত্নায়েকের বদলে দলে এসেছেন বিশ্ব ফার্নান্দো।
এ দিকে শুধু পরিসংখ্যান নয়, আত্মবিশ্বাস ও মানসিক দৃঢ়তারও পরীক্ষা হবে এই ম্যাচে। ইতিহাস বদলাতে এবং বিদেশের মাটিতে বিরল জয় ছিনিয়ে আনতে হলে বাংলাদেশকে খেলতে হবে সেরা ক্রিকেট। গতকাল সিমন্সের কণ্ঠে এমন অভিব্যক্তিই ফুটে উঠেছিল।
আবার প্রথম ম্যাচটি ড্র হওয়ায় কলম্বো টেস্টে যে দলই জয় পাবে, সিরিজ তাদের হবে। তাই এখানে লড়াইটা আরও জমে ওঠার বার্তা দিচ্ছে। গলের মতো কলম্বোর এই মাঠে স্পিনারদের তেমন প্রভাব নেই। তাতে ব্যাটারদের ওপরেই বেশি নির্ভরশীল হয়ে উঠবে দুদল। এই জায়গায় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন পেসাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *