শুভদিন প্রতিবেদক:
চাকরির বয়স মাত্র দুই বছর। এরই মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন রাজউকের সাব-জোন ৬/২ এর ইমারত পরিদর্শক মলয় চন্দ্র রায়। কিনেছেন জমি-ফ্ল্যাট, চড়েন দামী গাড়িতে। ভবন নির্মাণকারীদের জিম্মি করে বিপুল অঙ্কের ঘুষ আদায় করে রাতারাতি বিত্তবান হওয়া সৌভাগ্যবান মলয় ২০২৩ সালের ২মে রাজউকে চাকরিতে যোগদান করেন।
অভিযোগ উঠেছে, রাজউকে যোগদানের পর গত দুই বছরে যখন যে এলাকার দায়িত্ব পেয়েছেন- সেখান থেকেই মোটা অংক হাতিয়েছেন মলয়। বিশেষ কৌশলে খুব সহজেই অন্যের পকেট থেকে লাখ লাখ টাকা বের করে আনতে পারেন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার উত্তর চেরেঙ্গা গ্রামের মলয় চন্দ্র রায়। সহজ-সরল চেহারার মলয়কে সামনে থেকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই- সে কতটা ধুরন্ধর! রাজধানীর আমুলিয়া থেকে ডেমরা, দনিয়া, যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, মাতুয়াইল, সারুলিয়া, সিদ্দিরগঞ্জসহ উত্তর দূর্গাপুর পর্যন্ত মোট ৪০টি মৌজা এলাকা (আংশিক/পূর্ণ) রাজউকের সাব-জোন ৬/২ এর আওতাধীন।
কোন নির্মাণাধীন ভবনের দিকে তাকালেই কমপক্ষে দুই লাখ টাকা দিতে হবে তাকে। সাইট পরিদর্শনে গিয়ে “রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে না, ডেভিয়েশন হচ্ছে, সেটব্যাক নাই, পিলার জায়গামতো স্থাপন হয়নি, ভয়েড সমস্যা, পর্যাপ্ত জায়গা ছাড়া হয়নি’- ইত্যাদি নানান অযুহাত আর ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখিয়ে প্রথমে ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নোটিশ দেন। পরে ভবন মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কিংবা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে মোটা অঙ্কের ঘুষ হাতিয়ে নেন মলয়। অপরদিকে চাহীদামতো ঘুষ না পেলে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে ভবন ভাঙার হুমকি দেন। এভাবে ভবন মালিকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মলয়। চলবে,,,,,