শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
নারী বিশ্বকাপে সোমবার রাতে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাঁচা-মরার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। তাতে শেষ চারের আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। শ্রীলঙ্কার ২০২ রান তাড়া করতে নেমে হাতে ৫ উইকেট রেখে শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু চামারি আতাপাত্তুর করা শেষ ওভারটায় যা হলো, সেটির কোনো ব্যাখ্যা নেই।
৪ বলে ৪টি উইকেট হারানোর পাশাপাশি শেষ ওভারে মাত্র ১ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এই হারের পর নিজেদের পরিকল্পনা থেকে ছিটকে পড়াকে দুষছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশের ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে থেমে যাওয়ার পথে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। আউট হন শেষ ওভারের তৃতীয় বলে। রান তাড়ায় নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচটা নিয়ে যাওয়া উচিত হয়নি বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৪৯তম ওভারে ম্যাচ শেষ করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। জয়ের জন্য শেষ দুই ওভারে ১২ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। হাতে ৬ উইকেট। এ অবস্থায় সুগান্দিকা কুমারীর করা ৪৯তম ওভারে ১টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তাতে শেষ ওভারে জয়ের লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে যায়।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নিগার বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, শুরুতে উইকেট দেবো না। মাঝের ওভারগুলোয় ইনিংস গড়বো এবং শেষ ১০-১৫ ওভারে বেশি রান তুলবো। খেলাটা শেষ ওভারের আগের ওভারে শেষ করতে হতো। আমরা সেখানেই হেরেছি।’ জ্যোতি জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ম্যাচ জয়ে শুরু থেকেই তার আত্মবিশ্বাস ছিল। কিন্তু রান তাড়ায় শুরুটা অতটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। ১৫.৩ ওভারে ৪৪ রান তুলতেই নেই ৩ উইকেট। এরপর শারমিন আক্তারকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন জ্যোতি। ৩৬তম ওভারে রান নিতে গিয়ে পায়ে টান পড়ে শারমিনের। যন্ত্রণায় টিকতে না পেরে উঠে যেতে বাধ্য হন ৬৪ রান করা এই ব্যাটার। জ্যোতি বলেন, ‘শুরু থেকেই ম্যাচটা আমাদের ছিল। আমরা ভালো ব্যাট করেছি। কিন্তু (শারমিনের) রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার পর আমরা পিছিয়ে পড়ি। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেটও হারিয়েছি। আমরা এভাবে তিনটি ম্যাচ হেরেছি, যেটা হৃদয়বিদারক। (ম্যাচের) কোনো একপর্যায়ে আমরা পরিকল্পনা থেকে ছিটকে পড়েছি।’ শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে কিছু ক্যাচ ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৪৬ রান করা লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু একবার জীবন পান। দুবার জীবন পাওয়া হাসিনি পেরেরা করেন ৮৫ রান।
অধিনায়ক বলেন, ‘বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে সুযোগগুলো নিতে হবে। আমরা দলটা ফিল্ডিংয়ে খুব ভালো, কিন্তু যেকোনো ভাবেই হোক, গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমরা ক্যাচ ছেড়েছি। এটা মানসিক ব্যাপার, যেটার সমাধান করতে হবে।’ ষষ্ঠ ম্যাচে পঞ্চম হারের পর ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ সপ্তম। নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পাওয়া শ্রীলঙ্কা ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া দুই ম্যাচ থেকে এসেছে দলটির বাকি ২ পয়েন্ট। আগামী রোববার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ।