শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
গাজায় ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেদের এবং পরিবারের খাবার জোগাতে অক্ষম সাংবাদিকদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে এএফপি, এপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা থেকে সংঘাতের খবর যারা দিচ্ছেন, তারা এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি এবং ‘তারা যে পরিস্থিতির কথা বলছেন, তার মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন’।
এতে বলা হয়েছে, ‘অনেক মাস ধরে, এই স্বাধীন সাংবাদিকরা গাজার মাটিতে বিশ্বের চোখ এবং কান হয়ে আছেন। কিন্তু এখন তারা ‘ক্রমবর্ধমানভাবে নিজেদের খাওয়াতে অক্ষম’।
আন্তর্জাতিক এই সংবাদমাধ্যমগুলো গাজার স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্ভরশীল, কারণ ইসরায়েল বিবিসি নিউজসহ বিদেশি মিডিয়াকে গাজায় সাংবাদিক পাঠাতে দেয় না।
১০০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠী গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
চার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গাজার আমাদের সাংবাদিকদের জন্য অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, যারা ক্রমশ নিজেদের এবং তাদের পরিবারের জন্য খাবার জোগাতে অক্ষম হয়ে পড়ছেন। অনেক মাস ধরে, এই স্বাধীন সাংবাদিকরা গাজার মাটিতে বিশ্বের চোখ এবং কান হয়ে আছেন। তারা এখন যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন, তাদের প্রতিবেদনের মতোই।’
এতে উল্লেখ করা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকরা অনেক বঞ্চনা এবং কষ্ট সহ্য করেন। তবে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, এখন অনাহারের হুমকি এগুলোর মধ্যে একটি।
‘আমরা আবারও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ এবং বের হওয়ার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সেখানকার মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ পৌঁছানো অপরিহার্য।’
গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি অপুষ্টির কারণে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
দুই মাসের ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির পর গাজায় নতুন করে আগ্রাসন চালানোর সময় মার্চের শুরুতে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
প্রায় দুই মাস পর অবরোধ আংশিকভাবে প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে মিলে গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) নামের তথাকথিত ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ৮ সপ্তাহে সাহায্য কেন্দ্রগুলোর কাছে শত শত ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজার জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে।