শুভদিন অনলাইন রিপোর্টার:
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে মাল্টিপারপাস হলে বিডার পুনর্বিন্যাসকৃত সাংগঠনিক কাঠামো বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিনি বলেন, ‘বিডা অন্যান্য সাধারণ সরকারি দপ্তরের মতো নয়। এটি একটি বিশেষায়িত সংস্থা, যার মূল দায়িত্ব বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সাড়া দেওয়া। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই বিডাকেও সেই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এ কাঠামোগত সংস্কার আমাদের দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফলাফল, যা আমরা এখন বাস্তবে রূপ দিচ্ছি’।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার ধাপসমূহের সাথে মিল রেখে নিজেদের সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক সংস্কার এনেছে। এ পুনর্গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব ও কর্তব্যে অধিকতর স্পষ্টতা আসবে, বিনিয়োগকারীদের জন্য সেবা হবে আরো দ্রুত ও কার্যকর এবং সেবার মান পরিমাপের জন্য নির্ধারিত সূচক প্রবর্তন করা হয়েছে। এ কাঠামোগত সংস্কার সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরো প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বিডার নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে ইনভেস্টমেন্ট লাইফ সার্কেলের সাথে মিল রেখে। এ কাঠামো অনুযায়ী বিডায় থাকবে পাঁচটি প্রধান অনুবিভাগ বা উইং-ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন: বিনিয়োগ আকর্ষণ ও প্রবেশ পর্যায়, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি: নীতি সহায়তা ও অ্যাডভোকেসি, অপারেশনস: বিনিয়োগ শুরু, সম্প্রসারণ ও ধারাবাহিকতা রক্ষা, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট: বিনিয়োগ সেবার আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল সংস্কার, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন: প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সহায়তা।
বিডার নতুন কাঠামোগত সংস্কারের উল্লেখযোগ্য দিক হলো-নির্বাহী সদস্য পদে এখন থেকে বিডার নিজস্ব কর্মকর্তা ছাড়াও বেসরকারি খাতের পেশাজীবীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন, যা পূর্বে শুধু প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশন শাখাকে পৃথক ইউনিট হিসেবে গঠন করা হয়েছে, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বিশেষ ডেস্ক চালু করা হচ্ছে এবং বিনিয়োগ সহায়তায় খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি দেশের সকল বিনিয়োগ সংস্থা সমন্বিত করে একটি একীভূত কাঠামো প্রণয়নের রোডম্যাপ প্রস্তুত করছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা খণ্ডিত সেবা ব্যবস্থার পরিবর্তে একক একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রয়োজনীয় সব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।